উইসকনসিন সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়, যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণের ইঙ্গিত দেয়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে উদারপন্থী প্রার্থী সুসান ক্রফোর্ড জয়লাভ করেছেন, যা দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে উদারনৈতিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রেখেছে।
এই নির্বাচনটিকে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াই হিসেবে দেখা হচ্ছিল, যেখানে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের বিষয়টিও জড়িত ছিল।
সাধারণ নির্বাচনের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হওয়া এই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল। সাধারণত, এমন নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকে।
তবে, এবারের নির্বাচনে প্রায় ২৩ লক্ষাধিক মানুষ ভোট দিয়েছেন, যেখানে এর আগের নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ। এমনকি, গত বছর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উইসকনসিনে ভোট পড়েছিল ৩৪ লক্ষেরও বেশি।
এই নির্বাচনের ফল বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন – গর্ভপাতের অধিকার, কংগ্রেসের নির্বাচনী এলাকার পুনর্বিন্যাস এবং টেসলার গাড়ি বিক্রির মতো বিষয়গুলোর ওপর প্রভাব ফেলবে। সুসান ক্রফোর্ড-এর জয় নিশ্চিত করে যে আদালত এইসব গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখবে।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, ক্রফোর্ড ৫৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যাড শিমেল-এর পক্ষে ভোট পড়েছে ৪৫ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই নির্বাচনের ফলাফল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতিগুলোর প্রতি জনগণের মনোভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে। কারণ, এই নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে ট্রাম্পের সমর্থিত প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে।
এছাড়াও, নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, ট্রাম্পের সমর্থন পাওয়া অনেক কাউন্টিতেও উদারপন্থী প্রার্থীর জয় হয়েছে।
উইসকনসিনের এই নির্বাচন আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন ধারার ইঙ্গিত দেয়। সাধারণত, কম ভোটার উপস্থিতির নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা ভালো ফল করেন।
তবে, এবারের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মিলওয়াকি কাউন্টিতে ভোটার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়াও, রাজ্যের অন্যান্য এলাকাতেও ভোটের হারে পরিবর্তন দেখা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্বাচন শুধু একটি রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন নয়, বরং এটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনগণের আগ্রহ এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের একটি দৃষ্টান্ত।
এটি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং জনগণের জীবনে আদালতের সিদ্ধান্তের গুরুত্বকেও তুলে ধরে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন