প্রেমিকের ‘বিশেষ’ খাবারে অতিষ্ঠ প্রেমিকা, বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে তোলপাড়!

সম্পর্কের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি অনলাইন আলোচনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জানা গেছে, একজন নারী তাঁর সঙ্গীর বিশেষ কিছু খাবারের প্রতি দুর্বলতার কারণে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।

ওই নারীর মতে, তাঁর প্রেমিক কোনো সবজি খেতেন না, এবং তাঁর খাবারের তালিকা ছিল খুবই সীমিত।

আলোচনাটি শুরু হয় একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন ফোরামে (যা অনেকটা বড় আকারের ভার্চুয়াল আড্ডার মতো)। সেখানে ওই নারী জানান, তাঁর প্রেমিক মূলত চিকেন ফিঙ্গার, গ্রিলড চিজ, ম্যাক অ্যান্ড চিজ এবং থাই পদ ‘প্যাড থাই’ খেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন।

তিনি কখনো প্রেমিককে কোনো সবজি খেতে দেখেননি। এই কারণে তিনি তাঁদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারছিলেন না।

ওই নারী আরও জানান, তাঁরা কয়েক মাস ধরে সম্পর্কে ছিলেন। তিনি তাঁর প্রেমিককে ভালোবাসতেন, তবে তাঁর এই খাদ্য-অভ্যাস তাঁদের মধ্যে একটা বড় সমস্যা তৈরি করছিল।

বিশেষ করে, একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি উদ্বেগে ছিলেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, সঙ্গীর এই সীমাবদ্ধতার কারণে ভ্রমণের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে, এবং বন্ধুদের সঙ্গে ডিনারে গেলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে।

ওই নারী আরও জানান, তিনি খুব সহজেই সব ধরনের খাবার গ্রহণ করতে পারেন। তাই, তাঁর সঙ্গীর এই সীমাবদ্ধতা তাঁর কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছে।

তাঁর মতে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার এই ভিন্নতা ভবিষ্যতে তাঁদের মধ্যে আরও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে।

ওই নারীর এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মতে, খাদ্য পছন্দের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের স্বাধীনতা আছে, তবে তা যেন সঙ্গীর জন্য কোনো বিরক্তির কারণ না হয়।

অনেক ব্যবহারকারী মনে করেন, খাদ্য-অভ্যাস সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, এবং এর কারণে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্কের শুরুতে একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রার ধরন—এসব বিষয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।

কারণ, একটি সুস্থ সম্পর্কের জন্য সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং তাঁদের ভালো লাগাগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *