ক্যালিফোর্নিয়ার সমুদ্রতীরের একটি শান্ত আবাসিক এলাকায়, চ্যাপম্যান হামবার্গ নামের একজন শিল্পী প্রায়ই তাঁর নবজাত মেয়েকে কোলে নিয়ে আশেপাশে হাঁটাহাঁটি করেন। উদ্দেশ্য একটাই, মেয়ের ঘুম পাড়ানো আর স্ত্রীর বিশ্রাম নিশ্চিত করা।
একদিন সকালে, হামবার্গ যখন তাঁর শিশুটিকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন, তখন অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা ঘটল।
হঠাৎ করেই, তাঁর বাড়ির সামনে একটি পুলিশের গাড়ি এসে থামল। প্রথমে তিনি কিছুটা হতচকিত হয়ে গেলেন।
পরে জানতে পারলেন, তাঁর এক প্রতিবেশী, তাঁকে ‘ homeless’ বা ভবঘুরে ভেবে পুলিশে খবর দিয়েছেন। হামবার্গের পোশাক এবং তাঁর এলোমেলো চুল দেখে সম্ভবত এমনটা মনে হয়েছিল প্রতিবেশীর।
ঘটনাটি ছিল বেশ হাস্যকর। হামবার্গকে যখন পুলিশ অফিসার জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী এবং বড় ছেলে বাইরে এসে তাঁদের পাশে দাঁড়ান।
হামবার্গ দ্রুত তাঁর পরিচয়পত্র দেখান এবং ঘটনার বিবরণ দেন। পরে তাঁরা সবাই হাসাহাসি করেন এবং বিষয়টি মিটিয়ে ফেলেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
হামবার্গ জানান, পুলিশ অফিসারের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ পরিস্থিতি সহজ করে দেয়।
তবে, এই ঘটনার পরে তিনি উপলব্ধি করেন যে, বাইরের চেহারা দেখে খুব সহজে মানুষকে ভুল বোঝা যায়।
একজন শিল্পী হিসেবে হামবার্গের পোশাক-পরিচ্ছদ সব সময় পরিপাটি থাকে না। তাঁর নিজের স্টাইল আছে এবং তিনি সেভাবেই থাকতে পছন্দ করেন।
এই ঘটনার পর, হামবার্গ তাঁর প্রতিবেশীর কাছ থেকে কোনো দুঃখপ্রকাশ পাননি।
বরং তিনি চান, এই ঘটনার মাধ্যমে প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক তৈরি হোক।
তিনি মনে করেন, প্রতিবেশী যদি তাঁর পরিবারের ভালো চায়, তবে এটা ভালো একটা দিক।
হামবার্গ ভবিষ্যতে তাঁর প্রতিবেশীকে একটি চিঠি লেখার কথা ভাবছেন, যেখানে তিনি তাঁর সচেতনতার জন্য ধন্যবাদ জানাবেন এবং তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করবেন।
তথ্য সূত্র: পিপল