স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বন্ধু! এরপর যা ঘটল…

একজন নারীর স্বামী এবং তার সেরা বন্ধু—এই দু’জনের মধ্যেকার একটি মনোমালিন্যের জেরে এক কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওই নারী।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই নারীর স্বামী তার এবং বন্ধুর মাসিক নিয়ে একটি মন্তব্য করেন। ফোরামে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন ওই নারী ও তার বন্ধু নিজেদের মাসিক নিয়ে কথা বলছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরেই ওই নারীর স্বামী পাব-এ (pub) যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হন। যাওয়ার আগে তিনি বন্ধুদের উদ্দেশ্যে এমন একটি মন্তব্য করেন যা শুনে ওই নারীর বন্ধু নিজেকে অপমানিত বোধ করেন।

ওই নারীর বন্ধু বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি এবং তিনি তার স্বামীকে ‘নারী বিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেন। এর উত্তরে ওই নারীর স্বামী বন্ধুর “অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা” নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

পরে বিষয়টি নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন ওই নারী। তিনি জানান, তার স্বামী দুঃখিত এবং বন্ধুর কাছে ক্ষমা চাইতে রাজি আছেন। কিন্তু ওই নারীর বন্ধু কোনো ক্ষমা গ্রহণ করতে রাজি নন। বরং তিনি স্বামীর আচরণকে ‘ছোটলোক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এই পরিস্থিতিতে ওই নারী উভয় সংকটে পড়েছেন। তিনি ফোরামে প্রশ্ন করেছেন, কয়েক দিন পার হয়ে যাওয়ার পর, তার বন্ধুর স্বামীর ক্ষমা গ্রহণ করা উচিত কিনা।

ওই নারীর এই পোস্টে অনেকে মন্তব্য করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, স্বামীর মন্তব্যটি ছিল খুবই আপত্তিকর। তাদের মতে, কোনো পুরুষের, বিশেষ করে বন্ধুর স্বামীর, বন্ধুর মাসিক নিয়ে এমন মন্তব্য করা উচিত হয়নি। কারো কারো মতে, বন্ধুর ক্ষমা না করাটা ঠিক হচ্ছে না, কারণ স্বামী ক্ষমা চাইতে চেয়েছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ক্ষমা সব সমস্যার সমাধান নয়।

বন্ধুত্ব এবং দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যেকার এই টানাপোড়েন অনেক নারীর কাছেই পরিচিত একটি বিষয়। সামান্য ভুল বোঝাবুঝি অনেক সময় বড় সমস্যার সৃষ্টি করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *