কফি শপ নাকি অফিসের কাজ? অনলাইনে বিতর্কের ঝড়।
সম্প্রতি, একটি অনলাইন ফোরামে একজন নারীর একটি অভিযোগকে কেন্দ্র করে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। তিনি কফি শপগুলোতে অন্যদের অফিস হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
তার এই মন্তব্যের জেরে অনেকেই সমর্থন জানালেও, অনেকে আবার এর বিপক্ষে মত দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘মামসনেট’-এ নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ওই নারী জানান, তিনি স্থানীয় একটি কফি শপে কফি পান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দেখেন, চারজন ব্যক্তি ল্যাপটপ, হেডফোন এবং কাগজের স্তূপ নিয়ে কাজ করছেন।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্লায়েন্টদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন, আবার মিটিংয়ের জন্য চেয়ারও সাজাচ্ছিলেন। ওই নারীর মতে, তাদের কারো কাছেই কোনো খাবার বা পানীয় ছিল না।
যদিও ওই নারী নিজে কফি শপে অন্যদের কাজ করার বিষয়ে বিশেষ কোনো আপত্তি জানাননি, তবে তার মনে হয়েছে বিষয়টি সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সেখানে থাকা একজন ব্যক্তির টেবিলে অন্যদের ব্যক্তিগত তথ্যের একটি তালিকা ছিল, যা অন্য গ্রাহকদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল।
তার মতে, এর মাধ্যমে গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রশ্ন করেন, “অন্য কারোও কি এমনটা বিরক্তিকর মনে হয়, নাকি আমিই ভুল করছি?”
এই পোস্টের পর, অনেক ‘মামসনেট’ সদস্য ওই নারীর প্রতি সমর্থন জানান। তাদের মতে, কফি শপগুলোতে অফিসের মতো পরিবেশ তৈরি হওয়াটা তাদেরও ভালো লাগে না।
তাদের কেউ কেউ বলেছেন, কফি শপে শুধুমাত্র হালকা কম্পিউটার ভিত্তিক কাজ করা যেতে পারে, মিটিং বা ফোন কল করাটা উচিত নয়। তাদের ধারণা, এর ফলে কফি শপের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয়।
অন্যদিকে, অনেকে এই যুক্তির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, কফি শপগুলো এখন অনেক মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি স্পেস।
যেখানে মানুষজন পড়াশোনা করে, কাজ করে, বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হয় এবং কিছুটা সময় কাটায়। তাদের মতে, কফি শপগুলো এই ধরনের পরিষেবা সরবরাহ করেই টিকে থাকে।
তাদের আরও যুক্তি, আজকাল স্থানীয় লাইব্রেরিগুলো কমে যাওয়ায় মানুষের জন্য কফি শপগুলো একটা বিকল্প স্থান হিসেবে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, অনেকে মনে করেন, যারা কফি শপে বসে কাজ করেন, তারা নিয়মিত কফি কিনে এবং কর্মীদের টিপস দিয়ে সহায়তা করেন।
আলোচনাটি বর্তমানে বিভিন্ন মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে, কর্মক্ষেত্র এবং পাবলিক স্পেস ব্যবহারের ধারণা নিয়ে এটি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আমাদের দেশেও, পাবলিক প্লেসে কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে।
সেক্ষেত্রে, এই ধরনের আলোচনা বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক।
তথ্য সূত্র: পিপল