ঘরের জিনিস ফেলে দেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ চাইলেন নারী: বন্ধুত্বের অবসান?

একটি ঘটনার সূত্রপাত, যেখানে এক নারী তাঁর বন্ধুকে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টটি ব্যবহারের জন্য দিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে আসার পর তিনি আবিষ্কার করেন যে তাঁর রান্নার অনেক মূল্যবান সরঞ্জাম বন্ধুটি ফেলে দিয়েছেন। এই ঘটনাটি বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই নারী, যিনি সম্প্রতি মা হয়েছেন, তাঁর স্বামীর সাথে তাঁদের নবজাতকের সাথে দুই মাস তাঁর মায়ের সাথে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। যেহেতু তাঁরা দেশের বাইরে ছিলেন, তাই তাঁরা তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টটি পরিচিত এক দম্পতির কাছে ভাড়া দেন, যারা বিশ্ব ভ্রমণ শেষে একটি থাকার জায়গার সন্ধান করছিলেন। এই ব্যবস্থাটি উভয় পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক ছিল।

কিন্তু যখন ওই নারী তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসেন, তখন তিনি তাঁর রান্নাঘরে এক ভয়ানক দৃশ্য দেখতে পান। তাঁর প্রয়োজনীয় অনেক রান্নার সামগ্রী, যেমন – বাসনপত্র, বিভিন্ন ধরণের চামচ, ছুরি, কড়াই, এমনকি তাঁর মায়ের দেওয়া বিশেষ কিছু উপকরণও ছিল না। তাঁর ভাষায়, “আমি খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে কেউ এমনটা করতে পারে।”

বন্ধুটি যখন এই বিষয়ে জানতে পারেন, তখন তিনি এমন আচরণ করেন যেন তিনি কোনো উপকার করেছেন। তিনি যুক্তি দেখান যে, যেসব জিনিস পরিষ্কার করা যাচ্ছিল না, সেগুলোই তিনি ফেলে দিয়েছেন। ওই নারী জানান, তিনি তাঁর সমস্ত জিনিস ফেরত চেয়েছেন। তাঁর স্বামী অবশ্য বিষয়টি মিটমাট করার জন্য অনুরোধ করেছেন, যাতে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় থাকে।

ওই নারীর মতে, এই ঘটনার সবচেয়ে দুঃখজনক দিক হলো, তাঁর মায়ের দেওয়া একটি বিশেষ ‘কাউসকাউস’ তৈরির পাত্র সহ আরও কিছু স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া। তাঁর কথায়, “এগুলো শুধু টাকা দিয়ে বিচার করার মতো নয়। এগুলোর সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।”

বিষয়টি নিয়ে তিনি রেডডিটে আলোচনা শুরু করেন। সেখানে অনেকেই তাঁর প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন। ব্যবহারকারীরা একমত হয়েছেন যে, বন্ধুর এই কাজটি মোটেই ঠিক হয়নি।

একজন মন্তব্যকারী লিখেছেন, “যদি আপনি কারও কাছ থেকে কিছু ধার করেন, তবে তা হয় আগের মতোই ফেরত দেওয়া উচিত, অথবা মালিকের সাথে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।” অন্য একজন ব্যবহারকারীর মতে, “এই ধরনের আচরণ বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়।”

এই ঘটনার মাধ্যমে বন্ধুত্বের সম্পর্কের গভীরতা এবং জিনিসপত্রের প্রতি মানুষের মানসিকতার একটি দিক উন্মোচিত হয়েছে। অনেকেই মনে করেন, অন্যের জিনিস ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *