অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে, এক মর্মান্তিক ঘটনায়, ৩৮ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ক্লিয়ার অস্টিন নামের ওই নারী, যিনি একজন ইভেন্ট ম্যানেজার ছিলেন, ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হওয়ার সময় গুরুতর আহত হন।
জানা গেছে, গত ১২ই এপ্রিল, তিনি একটি কাঁচের দরজা ভেঙে পালানোর চেষ্টা করেন, যার ফলে তার হাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। ঘটনার তিন দিন পর, ১৫ই এপ্রিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং এটিকে “সন্দেহজনক মৃত্যু” হিসেবে উল্লেখ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যিনি নিহত নারীর পরিচিত ছিলেন, তবে তাকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ক্লিয়ার অস্টিনের সুরক্ষার জন্য একটি ‘এপ্রিহেন্ডেড ভায়োলেন্স অর্ডার’ (এভিও) চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, যা তার মৃত্যুর দিন শুনানির কথা ছিল। এভিও হলো এমন একটি আদালতের আদেশ, যা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সহিংসতা বা হয়রানির আশঙ্কা থাকলে, তাকে রক্ষার জন্য জারি করা হয়।
এনএসডব্লিউ-এর প্রিমিয়ার ক্রিস মিন্স এই ঘটনাকে “বিপর্যয়কর” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি সেই নারী ও তার পরিবারের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। ঘরোয়া সহিংসতার শিকার হয়ে কারো মৃত্যু, সত্যিই বেদনাদায়ক।
তিনি আরও যোগ করেন, “এনএসডব্লিউ পুলিশ একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে এবং তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
পুলিশ ডেপুটি কমিশনার পিটার থার্টেল এই ঘটনাকে “পরম ট্র্যাজেডি” হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, “ঘরোয়া সহিংসতার কারণে মানুষ মারা যাওয়া বন্ধ করতে হবে। নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন, এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর অবসান হওয়া উচিত।
ক্লিয়ার অস্টিন যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং পরে অস্ট্রেলিয়ায় চলে আসেন। তিনি সিডনির একটি সৃজনশীল সংস্থা, ‘দ্য মিসফিটস মিডিয়া’-তে সিনিয়র ইভেন্ট প্রডিউসার হিসেবে কাজ করতেন।
বাংলাদেশেও পারিবারিক সহিংসতা একটি গুরুতর সমস্যা। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, সাহায্য এবং সমর্থনের জন্য কিছু জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ এই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হন, তবে দেরি না করে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করুন অথবা নিম্নলিখিত হেল্পলাইনগুলোতে ফোন করতে পারেন:
- নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম: ১০৯ (টোল-ফ্রি)
- জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টার: ৩৩৩
এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, পারিবারিক সহিংসতা একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা এবং এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল