যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারী, ক্লোই গ্রে, সম্প্রতি বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকের সময় একটি পুরো রোস্ট করা মুরগি নিয়ে বেশ আলোচনায় এসেছেন। নিউ ইয়র্ক শহরের বাসিন্দা গ্রে আলাস্কা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে নিউয়ার্ক বিমানবন্দর থেকে সান ফ্রান্সিসকো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাচ্ছিলেন।
এরপর কমলা কাউন্টির জন ওয়েইন বিমানবন্দরে তার সংযোগ ফ্লাইট ছিল। দীর্ঘ ভ্রমণের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি এই পদক্ষেপ নেন।
দীর্ঘ ভ্রমণের সময় খাবার সাথে রাখার কারণ হিসেবে গ্রে জানান, তিনি খাবার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। বিশেষ করে, তিনি তার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান।
তাই তার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার সাথে রাখা অপরিহার্য। সাধারণত, তিনি সবজি ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন – সালাদ বা স্টেক সাথে নেন। তবে, এবার তিনি একটু ভিন্ন কিছু করার পরিকল্পনা করেন।
ফ্লাইটের আগের রাতে তিনি একটি সুপারমার্কেট থেকে পুরো একটি রোস্ট করা মুরগি কেনেন। বিমানবন্দরে নিরাপত্তা চেকের সময় তার ব্যাগ স্ক্যান করা হলে, মুরগি থাকার কারণে সেটি নজরে আসে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তার ব্যাগ পরীক্ষা করেন এবং মুরগি সম্পর্কে জানতে চান। পরে, তারা তাকে মুরগিসহ যেতে দেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় গ্রে, তাই তিনি তার এই অভিজ্ঞতা টিকটকে শেয়ার করেন। তার এই ভিডিও দ্রুত ভাইরাল হয় এবং পাঁচ লক্ষাধিক ভিউ হয়।
অনেকে যেখানে বিষয়টিকে মজাদার হিসেবে দেখেছেন, সেখানে কেউ কেউ এর গন্ধ নিয়ে আপত্তিও জানান।
ক্লোই গ্রে-এর মতে, বিমানে খাবার পরিবেশন করা হয়। প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের ভালো খাবার দেওয়া হলেও, ইকোনমি ক্লাসের খাবার তেমন একটা স্বাস্থ্যকর হয় না।
তাই, তিনি নিজের পছন্দের খাবার সাথে নিয়ে যাওয়াটা জরুরি মনে করেন। অনেকে তার এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে মন্তব্য করেছেন এবং বিমানে নিজেদের খাবার নিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কৌশল শেয়ার করেছেন। এমনকি বেশ কয়েকজন বিমান কর্মীও জানান যে, তারাও একই কাজ করে থাকেন।
বিষয়টি নিয়ে অনেকে মজা করে মন্তব্য করেছেন, কেউ কেউ তাকে ‘আইকন’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন। গ্রে জানান, মুরগি বহন করার জন্য তার কাছে এটি সুবিধাজনক ছিল।
কারণ এর প্যাকেজিং সহজ এবং সহজে বহনযোগ্য। তার মতে, এটি ডিজাইনার ব্যাগের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।
তথ্য সূত্র: পিপল