যুক্তরাজ্যের একজন নারী তার আত্মীয়ের বিয়েতে অংশ নিতে না পারায় উপহার হিসেবে প্রায় ৬০০ ডলার (প্রায় ৬৬,০০০ বাংলাদেশি টাকা) দেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে, এই সিদ্ধান্তের যথার্থতা নিয়ে অনলাইনে উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
ঘটনাটি হলো, ওই নারীর পরিবারের কয়েক সপ্তাহ পরে একটি বিয়েতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল, যা তাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মাইল দূরে একটি কর্মদিবসে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তারা সেখানে যাওয়ার জন্য ছুটিও নিয়েছিলেন এবং আগের রাতে থাকার জন্য একটি হোটেল বুকিং করেছিলেন। কিন্তু তাদের ২ বছর বয়সী সন্তানের একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষার তারিখ পরে নির্ধারিত হওয়ায়, তারা এখন আর বিয়েতে যেতে পারছেন না।
ওই নারী তার মায়ের কাছ থেকে জানতে পারেন যে, বিয়েবাড়ির প্রতিটি প্লেটের খরচ প্রায় ১৬৯ ডলার। এরপর তিনি চিন্তায় পড়ে যান, যেহেতু তারা বিয়েতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না, সেক্ষেত্রে তাদের অনুপস্থিতির জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে কিছু দেওয়া উচিত কিনা। তিনি ও তার স্বামী আলোচনা করে ঠিক করেন যে তারা ৬০০ ডলারের বেশি উপহার দেবেন। এই পরিমাণ অর্থ “যুক্তিযুক্ত” হবে কিনা এবং তাদের অনুপস্থিতির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করতে যথেষ্ট হবে কিনা, এমনটাই তারা জানতে চেয়েছিলেন।
তবে, যুক্তরাজ্যের একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরাম, “মামসনেট”-এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে, ব্যবহারকারীরা এই উপহারের পরিমাণকে “অতিরিক্ত” বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, বিয়ের উপহার কনেপক্ষের দেওয়া খরচের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয় না। এমনকি অনেকে মনে করেন, যারা অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না, তাদের এমন বড় অঙ্কের উপহার দেওয়াটা “অত্যন্ত রুঢ়” এবং “অগ্রহণযোগ্য”।
ফোরামের অনেক সদস্য পরামর্শ দিয়েছেন যে, ৬০ ডলার বা তার বেশি দেওয়া যেতে পারে। কারো কারো মতে, তাদের জায়গায় অন্য কেউ যোগ দিতে পারবে।
ওই নারী আত্মীয়ের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ নন। সাধারণত বছরে একবার পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে তাদের দেখা হয় এবং তিনি সাধারণত তাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। তবে, তারা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার সূত্রে আবদ্ধ (যেমন, চাচা-চাচী বা ফুফু-ফুপু)।
বিয়ের উপহারের এই জটিলতা বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই জানতে চান, এই ধরনের পরিস্থিতিতে আসলে কত টাকা দেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল