চাকরি হারানো বন্ধুকে আশ্রয়, তারপর যা ঘটল! শুনে অবাক হবেন

শিরোনাম: বন্ধুকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বিপাকে নারী, টেকআউটে মত্ত বন্ধুর বিলাসিতা

প্রায়ই শোনা যায়, মানুষ বন্ধুত্বের খাতিরে অনেক ত্যাগ স্বীকার করে। কিন্তু সেই বন্ধু যদি সুযোগের সৎ ব্যবহার না করে, তখন কি হয়?

সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার শিকার হয়েছেন ৪৫ বছর বয়সী এক নারী। চাকরি হারানো এক বন্ধুকে আর্থিক সাহায্য করার উদ্দেশ্যে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন তিনি।

উদ্দেশ্য ছিল, বন্ধুটি যেন অল্প খরচে জীবন যাপন করে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।

জানা গেছে, ওই নারীর বন্ধু, যিনি আগে প্রযুক্তি (টেক) বিভাগে কাজ করতেন, কাজ হারানোর পর আর্থিক সংকটে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারী তাকে নিজের বাড়ির একটি কক্ষে থাকার প্রস্তাব দেন, যেখানে থাকার খরচ হিসেবে শুধু বিদ্যুতের বিল বাবদ মাসে ৩০০ ডলার দেওয়ার কথা হয়।

এছাড়াও, তিনি বন্ধুকে অফার করেন, তিনি যা রান্না করবেন, তা একসঙ্গে খাওয়ার এবং বাজার খরচ ভাগাভাগি করার সুযোগ।

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই আসল চিত্রটা স্পষ্ট হতে শুরু করে। একদিকে যখন বন্ধুটির সঞ্চয় করার কথা, তখন তিনি প্রায়ই বাইরে থেকে খাবার (টেকআউট) আনছেন, যা কিনা ওই পরিবারের অন্য সদস্যদের খাবার খরচ থেকেও অনেক বেশি।

বিষয়টি নিয়ে বেশ হতাশ ওই নারী।

বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের অনুভূতির কথা প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি জানান, বন্ধুটি বাড়িতে রান্নার খাবার না খেয়ে দিনে দুবার পর্যন্ত টেকআউটের খাবার খাচ্ছেন।

এতে তার মনে হচ্ছে, তিনি বন্ধুকে সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ, বন্ধুটির এই টেকআউটের পেছনে করা অতিরিক্ত খরচ তার সঞ্চয়ের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

সবচেয়ে বড় কথা, তার একটি নিজস্ব অবসরকালীন সঞ্চয় তহবিল (৪01k) রয়েছে, যা তিনি কিছুতেই খরচ করতে রাজি নন।

এই পরিস্থিতিতে ওই নারী দ্বিধায় পড়েছেন। তিনি এখন বুঝতে পারছেন না, বন্ধুর এই ধরনের আচরণে তার কি করা উচিত।

তাকে কি টেকআউটের খাবার বন্ধ করতে বলা যায়? নাকি অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়?

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে অনেকেই তাদের মতামত জানিয়েছেন।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর মতে, ওই নারীর বন্ধুকে তার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সরাসরি জানানো উচিত। কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, যেহেতু বন্ধুটি এখন ভালোভাবে অর্থ খরচ করছে, তাই তার কাছ থেকে বেশি ভাড়াও আদায় করা যেতে পারে।

আবার কারো কারো মতে, বন্ধুটিকে তার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যেতে পারে।

বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গিয়ে এমন পরিস্থিতিতে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলা এবং একটি সমাধানে আসাটা জরুরি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *