বিবাহিত জীবনে ঘর-সংসার বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিয়ে মতের অমিল নতুন নয়। অনেক সময় ভালোবাসার সম্পর্কেও এই বিষয়গুলো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একটি পরিবারের আবাসনের পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের খবর পাওয়া গেছে, যেখানে এক দম্পতির মধ্যে বাড়ির আকার ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদের পর, ওই নারী তাঁর সন্তানদের নিয়ে একটি ছোট বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি ভালো উপার্জন করেন এবং বাড়ির খরচ বহন করতে সক্ষম।
তাঁর বর্তমান সঙ্গী, যিনি প্রায় দেড় বছর আগে তাঁর সঙ্গে বসবাস শুরু করেছেন, তিনিও সংসারের খরচে সহায়তা করেন।
কিন্তু এই দম্পতির মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। নারীটি মনে করেন, পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানের বাড়িটি ছোট হয়ে গেছে।
তাঁর ইচ্ছা, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে তাঁরা একটি বড় বাড়ি কিনুক এবং এজন্য যৌথভাবে ঋণ নেওয়ারও পরিকল্পনা করেন। অন্যদিকে, তাঁর সঙ্গী এই প্রস্তাবে রাজি নন।
তিনি এই মুহূর্তে স্থান পরিবর্তন করতে চান না এবং বর্তমান বাড়িতেই থাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। অনেকের মতে, সঙ্গীর বর্তমান জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার কোনো কারণ নেই।
কারণ, তিনি ইতোমধ্যে একটি সুন্দর বাড়িতে বসবাস করছেন এবং তাঁর তেমন কোনো আর্থিক দায়বদ্ধতাও নেই। কেউ কেউ মনে করেন, নারীটির বড় বাড়ি কেনার আগ্রহ সম্ভবত তাঁর আগের জীবনযাত্রার সঙ্গে সঙ্গতি রাখার চেষ্টা।
বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের পরিস্থিতিতে খোলামেলা আলোচনার পরামর্শ দেন। তাঁদের মতে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে যুগলবন্দী হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যেখানে উভয়ের আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
এছাড়াও, যৌথ বিনিয়োগের আগে আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়া ভালো, যাতে করে কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হলে তা মোকাবেলা করা যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল