group ভ্রমণে বন্ধুদের কাণ্ড! একই বিছানায় ঘুমানোর প্রস্তাব, নারীর ‘ব্যাকআউট’ করার সিদ্ধান্ত?

বন্ধু ভ্রমণে গিয়ে ঘুমের বিড়ম্বনা! একই বিছানায় তিনজন, নাকি সোফায় রাত কাটানো?

সম্প্রতি এক নারী তার বন্ধু আয়োজিত একটি দলবদ্ধ ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করার কথা ভাবছেন। কারণ হলো, সেখানে ঘুমের ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি হয়েছে গুরুতর সমস্যা। জানা গেছে, সবাই একই ভাড়া দিলেও, হয়তো তাকে আরও দুজনের সঙ্গে একটি বিছানা ভাগ করে নিতে হবে, অথবা থাকতে হবে সোফায়।

এমন পরিস্থিতিতে তার এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কতটুকু সঠিক, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

ওই নারীর ভাষ্যমতে, তার এক বন্ধু এই ভ্রমণের আয়োজন করেছেন এবং একটি ভাড়ায় থাকার জায়গা (Airbnb) বুক করেছেন। কিন্তু ঘুমের ব্যবস্থা নিয়ে বন্ধুদের কিছুই জানানো হয়নি। পরবর্তীতে যখন তিনি নিজে ভাড়ার বাড়ির তালিকাটি দেখেন, তখনই জানতে পারেন যে সেখানে পর্যাপ্ত বিছানা নেই।

বিষয়টি নিয়ে তিনি যখন বন্ধুকে জানান, তখন তার বন্ধু বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেননি। বরং তিনি জানান, কয়েকজন হয়তো সোফায় ঘুমাতে পারে অথবা অন্যদের সঙ্গে বিছানা শেয়ার করতে পারে।

এরপর ওই নারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এই দ্বিধা প্রকাশ করেন। তিনি জানতে চান, এমন পরিস্থিতিতে তার ভ্রমণ থেকে সরে আসাটা কি ঠিক হবে? বিশেষ করে যখন সবাইকেই একই পরিমাণ অর্থ দিতে হচ্ছে, অথচ ঘুমের মানের ক্ষেত্রে এত পার্থক্য!

বিষয়টি নিয়ে অনলাইন আলোচনা-পর্যালোচনার পর অনেকেই ওই নারীর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এমন পরিস্থিতিতে তার ভ্রমণ থেকে বিরত থাকাই उचित হবে।

অনেকের প্রশ্ন, যখন সবার জন্য পর্যাপ্ত বেড নেই, তখন এমন একটি জায়গায় বুকিং দেওয়ার যৌক্তিকতা কি? কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বন্ধুর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা উচিত এবং নিজের অসুবিধার কথা জানানো উচিত।

সাধারণত, বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণে গেলে সবাই চায় একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা হোক। কিন্তু ঘুমের মতো মৌলিক একটি বিষয় যদি সন্তোষজনক না হয়, তবে পুরো ভ্রমণের আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে, যিনি ভ্রমণটি আয়োজন করেছেন, তার আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল।

বন্ধুত্বের খাতিরে অনেকেই হয়তো শুরুতে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি করবেন না, কিন্তু পরবর্তীতে এতে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে, বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণে গেলে সবার সুযোগ-সুবিধা এবং আরামের বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়। তাই, এমন পরিস্থিতিতে ওই নারীর সিদ্ধান্তকে অনেকেই সমর্থন জানাচ্ছেন।

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *