স্বামীকে ছেড়ে যাওয়া নারীর জীবনে শাশুড়ির নতুন ‘আদেশ’

একটি বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের পর, যুক্তরাজ্যের একজন নারীর প্রাক্তন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে জিনিসপত্র সরানো নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি এখন বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তিনি তাঁর স্বামীর থেকে আলাদা হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এবং খুব শীঘ্রই একটি নতুন স্থানে উঠবেন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর প্রাক্তন শাশুড়ি চান দ্রুত তাঁদের পুরোনো সংসার থেকে সব জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে।

ওই নারীর মতে, তাঁদের দাম্পত্য জীবনের স্মৃতিবিজড়িত অনেক জিনিস রয়েছে, যা তিনি তাঁর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে বসে গুছিয়ে নিতে চান। তিনি আশঙ্কা করছেন, তাঁর শাশুড়ি তড়িঘড়ি করে জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে অনেক মূল্যবান এবং আবেগপূর্ণ জিনিস ফেলে দেবেন।

এই বিষয়ে তিনি অন্যান্য নারীদের পরামর্শ চেয়ে একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে (Mumsnet) তাঁর সমস্যার কথা জানান। সেখানে অনেকেই তাঁকে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে যাওয়ার এবং বাকিটা প্রাক্তন স্বামী ও শাশুড়ির উপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

তাঁদের মতে, বিচ্ছেদের পর এমনিতেই মানসিক চাপ থাকে, তাই এই সময়ে বেশি ঝামেলার মধ্যে না যাওয়াই ভালো।

ওই নারী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ও তাঁর মধ্যে বাড়ির জিনিসপত্র ভাগাভাগি করে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। তাঁরা দুজনেই একটি বড় আকারের আবর্জনা ফেলার পাত্র ভাড়া করে, জিনিসপত্র আলাদা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

কিন্তু এখন তাঁর শাশুড়ি দ্রুত সবকিছু করতে চাইছেন, যা তাঁর উদ্বেগের কারণ।

সাধারণভাবে, বিবাহবিচ্ছেদের সময় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এই ধরনের জটিলতা দেখা যায়। বিশেষ করে, সম্পত্তির ভাগাভাগি এবং জিনিসপত্রের হিসাব মেলানোর মতো বিষয়গুলো অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে।

অনেক ক্ষেত্রে, পরিবারের বয়স্ক সদস্যরা, বিশেষ করে শাশুড়ি বা শ্বশুরমশাই, তাঁদের মতামত দিতে বা সিদ্ধান্ত নিতে চান।

এই ঘটনার মাধ্যমে, বিবাহবিচ্ছেদের সময় মানসিক চাপ এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যেকার সম্পর্কের জটিলতাগুলো আবারও সামনে আসে। এছাড়াও, কিভাবে এই ধরনের পরিস্থিতিতে নিজেদের জিনিসপত্রের প্রতি যত্ন নেওয়া যায়, সেই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *