প্রেমের সাত বছর, কিন্তু সন্তান নেওয়ার প্রশ্নে বাঁধল বিপত্তি। একত্র থাকার অঙ্গীকারের পরেও, বিয়ের পিঁড়ি পর্যন্ত না পৌঁছানোয়, ভালোবাসার সম্পর্কে ফাটল ধরার উপক্রম। ঘটনাটি ঘটেছে একত্রিশ বছর বয়সী এক নারীর জীবনে, যিনি তাঁর তেত্রিশ বছর বয়সী প্রেমিকের সঙ্গে সন্তানের জন্ম দিতে রাজি নন, যতক্ষণ না তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন।
ছেলেটির প্রবল ইচ্ছে, বাবা হওয়ার। তিনি চান, দ্রুতই তাঁদের পরিবার শুরু হোক। কিন্তু মেয়েটির স্পষ্ট কথা, বিয়েটা আগে হওয়া দরকার। তাঁর মতে, সন্তানের জন্ম দেওয়াটা বিয়ের চেয়েও অনেক বড় একটা দায়বদ্ধতা, তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত আগে নেওয়া উচিত।
তিনি জানিয়েছেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ছাড়া তিনি মা হতে রাজি নন।
প্রেমিকার এই সিদ্ধান্তে হতভম্ব তাঁর প্রেমিক। ছেলেটির শারীরিক কিছু সমস্যা রয়েছে, যার কারণে তাঁর জীবনকালের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তিনি চান, দ্রুত বাবা হয়ে সন্তানের মুখ দেখুন। তাঁর ধারণা, দেরি করলে হয়তো তিনি সন্তানের ভবিষ্যৎ দেখে যেতে পারবেন না।
কিন্তু বিয়ের প্রসঙ্গে তিনি বরাবরই ছিলেন অন্যরকম। তাঁর মতে, বিয়েতে পুরুষের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি, তাই তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে চান না।
প্রেমিকের এই দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণে তৈরি হয়েছে জটিলতা। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। প্রেমিকা তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়—বিয়ে না করলে, সন্তানের জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চান, তাঁর প্রেমিক তাঁকে ভালোবাসুক এবং তাঁর সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে রাজি থাকুক।
কোনো প্রকার আপসকামিতার বিয়ে তিনি চান না।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি একটা প্রস্তাবও দিয়েছেন—তাঁরা আলাদাভাবে নিজেদের বাড়ি কিনতে পারেন এবং একটিতে তাঁরা থাকবেন, অন্যটি ভাড়া দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাঁর প্রেমিক এতেও রাজি নন।
তাঁর অভিযোগ, প্রেমিকা তাঁকে ‘শাস্তি’ দিচ্ছেন। প্রেমিকার বক্তব্য, তিনি কাউকে শাস্তি দিতে চাইছেন না, বরং নিজের ব্যক্তিগত মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করতে রাজি নন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, মেয়ের সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁদের মতে, প্রেমিক যদি বিয়ে করতে রাজি না হন, তবে সন্তানের জন্ম দেওয়া উচিত নয়। কারণ, সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের ঝুঁকি থাকে।
তথ্য সূত্র: পিপল