ফোন না ধরলে আবারও কল? এক নারীর বিস্ফোরক মন্তব্য!

ফোন করার শিষ্টাচার নিয়ে সম্প্রতি একটি বিতর্ক উঠেছে, যেখানে কেউ প্রথমবার ফোন ধরেননি বলে কি আবারও ফোন করাটা অভদ্রতা? বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি অনলাইন ফোরামে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যেখানে অনেকে তাদের মতামত জানিয়েছেন।

আলোচনার সূত্রপাত হয় একজন নারীর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে। তিনি জানান, কেউ যদি প্রথমবার ফোন ধরার পরেও আবার ফোন করেন, তবে তার কাছে এটা ‘অমার্জিত’ মনে হয়।

তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “আমি যদি প্রথম কলটি না ধরি, তাহলে কেন তারা দ্বিতীয়, তৃতীয় বা দশম বার ফোন করবে?” তিনি আরও যোগ করেন, অনেক সময় তিনি হয়তো গোসল করছেন বা তার ফোন অন্য ঘরে চার্জ হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে তিনি ফোন ধরতে পারেন না। তিনি মনে করেন, মোবাইল ফোনে মিসড কলের নোটিফিকেশন থাকে, তাই যারা জরুরি তাদের ফিরে কল করার সুযোগ থাকে।

এই মন্তব্যের সঙ্গে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, ফোন তাদের সুবিধার জন্য।

তারা যখন চাইবেন, তখনই উত্তর দেবেন বা কল ব্যাক করবেন। বারবার ফোন করাটা তাদের ভালো লাগে না। কেউ কেউ তো এমনও বলেছেন, যদি কোনো কারণ ছাড়াই কেউ এতবার ফোন করে, তবে তারা সেই নম্বরটি ব্লক করে দেবেন।

তবে, সবার ধারণা এক নয়। কেউ কেউ মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর উত্তর দেওয়া উচিত।

তাদের মতে, কেউ যদি জরুরি কোনো কারণে, যেমন—কোথাও দেখা করার জন্য দেরি হচ্ছে বা কোনো খবর জানানোর জন্য ফোন করেন, তবে একাধিকবার ফোন করাটা তেমন সমস্যা নয়।

তবে, নিছক আড্ডার জন্য বা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে বারবার ফোন করাটা তাদেরও অপছন্দ।

আবার অনেকে প্রথমবার ফোন না ধরাটাকেই বেশি খারাপ চোখে দেখেন।

তাদের মতে, আগে যখন ল্যান্ডলাইন ফোন ছিল, তখন চিঠি বা টেলিগ্রামের মাধ্যমে দ্রুত যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল।

তাই, ফোন করাটা জরুরি এবং কারো ফোন না ধরাটা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত।

এমনকি, কেউ কেউ এমনও মনে করেন, যারা বারবার ফোন করেন, তাদের হয়তো উদ্বেগের সমস্যা রয়েছে।

তারা মনে করেন, কেউ ফোন না ধরলে হয়তো সেই ব্যক্তির কোনো বিপদ হয়েছে।

তাই, তারা দ্রুত যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাদের মতে, কেউ যদি কথা বলতে না চান, তবে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠিয়ে দিলেই চলে।

মোবাইল ফোনের যুগে, যোগাযোগের এই নতুন সংস্কৃতিতে, ফোন করার শিষ্টাচার নিয়ে বিতর্কটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিতর্কের মাধ্যমে, আমরা নিজেদের যোগাযোগ করার ধরন এবং অন্যের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে নতুন করে ভাবতে পারি।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *