সম্প্রতি রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার খরচ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অনেকে। বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে বাইরে খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে, কিন্তু সেই অনুযায়ী খাবারের মান ও দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভুক্তভোগীরা।
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে একটি অনলাইন ফোরামে, যেখানে বহু মানুষ তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।
আলোচনার সূত্রপাত হয় একজন নারীর একটি পোস্টে, যিনি তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠান এবং বাবার প্রতি উৎসর্গীকৃত একটি দিনের অনুষ্ঠানে বাইরে খেতে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, উভয় ক্ষেত্রেই তাঁর ১৪,০০০ টাকার বেশি খরচ হয়েছে, যা সেই সময়ের হিসেবে প্রায় ১৩৫ মার্কিন ডলারের সমান।
কিন্তু তাঁর মতে, বাইরে খাবারের মান ছিল বাড়ির খাবারের চেয়েও খারাপ। তাঁর এই অভিজ্ঞতা অনেকের সঙ্গেই মিলে যায়।
ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, বিশেষ কোনো উপলক্ষ ছাড়া তিনি আর বাইরে খেতে যেতে চান না। কারণ, তাঁর মতে, ভালো মানের রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করা বেশ কঠিন।
ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও একই ধরনের মতামত প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ বলছেন, এখন প্রায় সব রেস্টুরেন্টের মেনু একই রকম হয়ে গেছে এবং খাবারের দামও অনেক বেশি।
আগে যেখানে তাঁরা নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট খুঁজে উপভোগ করতেন, এখন সেই সুযোগ কমে গেছে।
অনেকে মনে করেন, রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বদলে ভ্রমণের সময় ভালো মানের খাবার উপভোগ করা যেতে পারে। আবার কেউ কেউ বিশেষ ছুটির দিনের জন্য বাইরে খাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
ঢাকার বাজারেও একই ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। ঈদ কিংবা বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে অনেক টাকা খরচ হয়।
কিন্তু অনেক সময় সেই অনুযায়ী খাবারের মান পাওয়া যায় না। ফলে, অনেকেই এখন বাড়িতে খাবার তৈরি করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
তাঁদের মতে, এতে যেমন খরচ বাঁচে, তেমনই খাবারের গুণগত মানও বজায় থাকে।
দিন দিন বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রেস্টুরেন্টের খাবারের দামও। তাই, এখন অনেকেই বাড়ির খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল