একটি বোনের বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন আরেক বোন। বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হলে গুণতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা, এমনটাই জানিয়েছেন কনে।
সম্প্রতি, বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ওই তরুণীর বড় বোন ও তার হবু বর তাদের বিয়ের খরচ তোলার জন্য অতিথিদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কনে জানিয়েছেন, বিয়ের আয়োজন, যেমন – খাবার, ফুল, সাজসজ্জা সহ অন্যান্য খরচ এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এমনকি, যারা এই অর্থ দিতে পারবে না, তাদের বিয়েতে আসারও কোনো প্রয়োজন নেই।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই তরুণী লিখেছেন, “আমার বোন এবং তার হবু বর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, বিয়েতে যোগ দিতে আসা প্রত্যেক সদস্যকে কিছু অর্থ দিতে হবে।
বিষয়টা এমন নয় যে, পোশাক বা ভ্রমণের খরচ দিতে হবে, বরং বিয়ের যাবতীয় খরচের জন্য টাকা দিতে হবে। তারা এটিকে ‘ shared celebration’ বলছেন, যেন এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়।”
যখন বোন তাকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান, তখন তিনি এর বিরোধিতা করেন।
তিনি জানান, বিষয়টি তার কাছে খুবই অস্বস্তিকর লাগছে।
এছাড়াও, কম খরচে বিয়ের আয়োজন করারও পরামর্শ দেন, কিন্তু কনে তাতে রাজি হননি।
কথোপকথনটি বেশ উত্তেজনাকর ছিল বলেও জানান তিনি।
পরে, যখন তিনি বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র পান, তখন একটি বিশেষ বার্তা যুক্ত ছিল, যেখানে লেখা ছিল, ‘যদি আমি অনুষ্ঠানে ‘অবদান’ না রাখি, তাহলে আমার আসার প্রয়োজন নেই’।
ওই তরুণী আরও জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি খুবই হতাশ এবং দুঃখিত।
তিনি বলেন, “আমি আমার বোনকে ভালোবাসি, কিন্তু শুধুমাত্র সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য কয়েক’শ থেকে হাজার ডলার পর্যন্ত খরচ করতে বলাটা আমার কাছে খুবই অন্যায় মনে হয়েছে।
বিশেষ করে, যখন আমাকে কোনো অনুষ্ঠানে ব্রাইডসমেড হিসেবেও ডাকা হয়নি।
তাছাড়া, বিয়ের ভেন্যুটা অনেক দামি একটি স্থানে এবং সেখানে থাকার কোনো ব্যবস্থাও করা হয়নি।
আমি এখনো পড়াশোনা করছি, খণ্ডকালীন কাজ করি, তাই এত টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার নেই।”
এদিকে, পরিবারের অন্য সদস্যরা তাকে বিয়েতে যাওয়ার জন্য এবং বোনের প্রতি সমর্থন দেখানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন।
তবে, তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র বোনকে ভালোবাসেন এটা প্রমাণ করার জন্য তার এতগুলো টাকা খরচ করা উচিত নয়।
বিষয়টি নিয়ে তিনি অনলাইনে অন্যদের পরামর্শ চেয়েছেন।
অনেকেই তার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।
তাদের মতে, বিয়ের জন্য ‘অ্যাডমিশন ফি’ নেওয়াটা খুবই অদ্ভুত এবং অপ্রত্যাশিত।
অনেকে আরও মন্তব্য করেছেন যে, যদি কেউ বড় আকারের বিয়ের খরচ বহন করতে না পারেন, তাহলে সাদাসিধেভাবে বিয়ে করাটাই ভালো।
কারো কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায় করাটা কোনো সমাধান নয়।
কিছু মন্তব্যকারী আরও বলেছেন, কনে ও বর তাদের ভালোবাসার মানুষদের সঙ্গে ‘গ্রাহক’-এর মতো আচরণ করছেন।
একজন মন্তব্য করেছেন, “যদি টাকা দিয়েই বিয়েতে যেতে হয়, তাহলে আপনি আর অতিথি থাকছেন না, বরং গ্রাহক হয়ে যাচ্ছেন।
গ্রাহক হিসেবে, আমি কী খাব, কোথায় বসব, এমনকি কোন গান বাজবে, সেই বিষয়ে আমার একটা অধিকার থাকবে।”
তথ্য সূত্র: পিপলস