অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় কথা বলতে চান, কিন্তু ফুফুর ‘অদ্ভুত’ আচরণ!

পরিবারের শোকের আবহে এক নতুন বিতর্ক, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পাঠ নিয়ে দ্বিধা!

একটি শোকের পরিবেশে, যখন সবাই প্রিয়জনের স্মৃতিচারণে ব্যস্ত, তখনই দেখা দিয়েছে এক অপ্রত্যাশিত জটিলতা। ঘটনাটি ঘটেছে, যেখানে এক নারী তার কাকিমার (paternal aunt) অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পাঠ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

কিন্তু পরিবারেরই আরেক সদস্য, যিনি পেশায় একজন ক্যাথলিক, এই পাঠের বিষয়ে আপত্তি তুলেছেন।

জানা যায়, ওই নারীর কাকিমা সম্প্রতি মারা গেছেন। মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর (ওই নারীর) কাছে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পাঠ করার অনুরোধ করা হয়।

তিনি রাজিও হন, কারণ তিনি তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু এর মধ্যেই বিপত্তি! ওই নারীর আরেক কাকিমা, যিনি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বী, এই পাঠের বিষয়ে আপত্তি জানান।

তাঁর মতে, একজন অ-ক্যাথলিক ব্যক্তির ক্যাথলিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাটা ক্যাথলিকদের জন্য “আপত্তিকর”।

বিষয়টি নিয়ে যখন আত্মীয়দের মধ্যে আলোচনা চলছিল, তখন ঘটনার কেন্দ্রে থাকা নারী সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে শুরু করেন। তিনি জানান, তিনি কোনো ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ রাখেন না এবং তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল শোকাহত পরিবারের প্রতি সমর্থন জানানো।

কিন্তু কাকিমার আপত্তির পর তিনি দ্বিধায় পড়ে যান। এমতাবস্থায়, তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, তিনি কি এই বিষয়ে তাঁর কাকিমার (মৃতের মেয়ে) সঙ্গে কথা বলবেন, নাকি যেভাবে সবকিছু ঠিক করা হয়েছে, সেভাবেই এগিয়ে যাবেন?

এই ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি জনপ্রিয় অনলাইন ফোরামে, যেখানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ওই নারী অন্যদের পরামর্শ চেয়েছিলেন। সেখানে অনেকে এই বিষয়ে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন।

কেউ কেউ বলেছেন, কাকিমার আপত্তি করাটা ঠিক হয়নি, বরং তাঁর নিজের বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। আবার কেউ কেউ মনে করেন, ওই নারীর উচিত তাঁর কাকিমার (মৃতের মেয়ে) সঙ্গে কথা বলা, যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়।

তবে, এই ঘটনার মূল বিষয় হল, একটি শোকের মুহূর্তেও কিভাবে ভিন্ন মতাদর্শের কারণে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে এবং শোকের আবহকে সম্মান জানাতে, বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রীতিনীতি সম্পর্কে শ্রদ্ধাশীল হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *