নারী সাহিত্য জগতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘উইমেন’স প্রাইজ ফর ফিকশন’ পুরস্কার পেলেন ডাচ লেখিকা ইয়েল ভ্যান ডার ওয়াউডেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য সেফকিপ’-এর জন্য এই সম্মাননা।
একইসাথে, চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণামূলক লেখার জন্য ‘উইমেন’স প্রাইজ ফর নন-ফিকশন’ জিতেছেন ব্রিটিশ চিকিৎসক র্যাচেল ক্লার্ক। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, ‘দ্য সেফকিপ’ উপন্যাসটি ১৯৬১ সালের নেদারল্যান্ডসের প্রেক্ষাপটে লেখা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ডাচ ইহুদিদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং একটি পরিবারের গল্প এতে তুলে ধরা হয়েছে।
সমালোচকেরা উপন্যাসটির গভীরতা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপর জোর দিয়েছেন। বিচারকদের মতে, ওয়াউডেনের এই কাজটি ইতিহাস, সাসপেন্স এবং ঐতিহাসিক সত্যতার এক অসাধারণ মিশ্রণ।
পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ৩০,০০০ পাউন্ড।
অন্যদিকে র্যাচেল ক্লার্কের ‘দ্য স্টোরি অফ আ হার্ট’ হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সঙ্গে জড়িত শিশুদের জীবন এবং অস্ত্রোপচারের ইতিহাস নিয়ে লেখা।
বইটিতে মানবিক সম্পর্কের গভীরতা এবং এনএইচএস কর্মীদের (যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা) নিবেদিত প্রাণ কর্মযজ্ঞ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
নন-ফিকশন বিভাগে ক্লার্কের এই কাজটিও ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। র্যাচেল ক্লার্কও পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৩০,০০০ পাউন্ড।
অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় খ্যাতিমান লেখক বার্নার্ডিন এভারিস্টোকে। তাঁর সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ এই বিশেষ পুরস্কারটি দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, উইমেন’স প্রাইজ-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সম্মাননা। এভারিস্টো তাঁর ‘গার্ল, ওম্যান, আদার’ উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার জিতেছিলেন।
উইমেন’স প্রাইজ ফর ফিকশন নারীদের সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করে এবং তাঁদের কাজের স্বীকৃতি দেয়। এই পুরস্কারের মাধ্যমে লেখিকাদের সৃজনশীলতাকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান