বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ স্থানটি এবার কোপেনহেগেনের দখলে, যেখানে গত তিন বছর ধরে শীর্ষ অবস্থানে ছিল ভিয়েনা। সম্প্রতি প্রকাশিত ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU)-এর ২০২৩ সালের লাইভেবিলিটি ইনডেক্সে এই তথ্য উঠে এসেছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো এবং পরিবেশ সহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে বিশ্বের ১৭৩টি শহরের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
প্রকাশিত সূচক অনুযায়ী, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন স্থিতিশীলতা, শিক্ষা এবং অবকাঠামোতে ‘নিখুঁত’ স্কোর অর্জন করে শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে। এর পরেই যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা এবং সুইজারল্যান্ডের জুরিখ।
তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন এবং পঞ্চম স্থানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা। শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য শহরগুলো হলো: সিডনি, ওসাকা, অকল্যান্ড, অ্যাডিলেইড এবং ভ্যাঙ্কুভার।
তবে, কেন ভিয়েনা শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে ব্যর্থ হলো? এর কারণ হিসেবে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে শহরের স্কোর উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। গত বছর একটি কনসার্টে বোমা হামলার হুমকি এবং এর ফলস্বরূপ অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ার মতো ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।
EIU-এর ডেপুটি ইন্ডাস্ট্রি ডিরেক্টর বারসালি ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে বসবাসযোগ্যতার মান স্থিতিশীল রয়েছে, তবে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে স্কোর কমেছে।
অন্যদিকে, কানাডার ক্যালগারির স্বাস্থ্যখাতে দুর্বলতার কারণে র্যাঙ্কিংয়ে অবনতি হয়েছে। তালিকায় ১৮ নম্বরে নেমে এসেছে শহরটি। টরন্টোও ১২ থেকে ১৬ নম্বরে নেমে এসেছে।
বারসালি ভট্টাচার্য্য আরও উল্লেখ করেছেন, বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং আবাসন অবকাঠামোর উপর চাপ বাড়ছে।
তালিকার একেবারে নিচে থাকা শহরগুলোর মধ্যে সিরিয়ার দামাস্কাস এবং লিবিয়ার ত্রিপোলির অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা এই তালিকায় একেবারে নিচের দিকে, তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
পাকিস্তানের করাচি এবং আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স-এর অবস্থান যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।
অন্যদিকে, সৌদি আরবের শহর আল খোবার স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে উন্নয়নের ফলে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। শহরটি ১৪৮ থেকে ১৩৫ নম্বরে উঠে এসেছে। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা স্থিতিশীলতার উন্নতি ঘটিয়ে ১৪২ থেকে ১৩২ নম্বরে পৌঁছেছে।
মোটকথা, জীবনযাত্রার মানের সূচকে বিভিন্ন শহরের এই উত্থান-পতন একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।
তথ্য সূত্র: সিএনএন