ওয়েলসের ফুটবল ক্লাব, রেক্সহ্যাম, তাদের মালিক হলিউডের দুই তারকা, রায়ান রেনল্ডস এবং রব ম্যাকেলহেনির হাত ধরে যেন সাফল্যের শিখরে উড়ছে। ক্লাবটি বর্তমানে ইংলিশ ফুটবল লিগ ওয়ানে খেলছে এবং তাদের সামনে এখন দ্বিতীয় বিভাগে, অর্থাৎ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার সুযোগ এসেছে।
যদি তারা তাদের পরের খেলায় চার্লটনকে হারাতে পারে এবং তৃতীয় স্থানে থাকা উইকোম্ব তাদের খেলা হারে অথবা ড্র করে, তাহলেই তাদের এই পদোন্নতি নিশ্চিত হবে।
২০২১ সালে এই দুই অভিনেতা যখন ক্লাবটি কিনেছিলেন, তখন রেক্সহ্যামের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। কিন্তু তাদের মালিকানায় আসার পর থেকেই যেন ক্লাবের মোড় ঘুরে যায়।
এখন তারা দ্রুতগতিতে উপরের দিকে উঠছে এবং সম্ভবত আগামী বছরই তারা প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে রেনল্ডস এবং ম্যাকেলহেনির কৌশল, সেই সাথে রয়েছে খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম। এই মুহূর্তে দলের খেলোয়াড় এবং সমর্থকরা সবাই বেশ উত্তেজিত।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘ডেডপুল’ খ্যাত অভিনেতা রায়ান রেনল্ডস তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আসলে এখন সিজন শেষের সময়। তাই মানসিক চাপ তো থাকবেই।”
ইংলিশ ফুটবলে ক্লাবগুলোর মধ্যে একটি স্তরবিন্যাস রয়েছে। রেক্সহ্যাম এখন যে লিগে খেলছে, তার উপরেই রয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপ এবং সবার উপরে রয়েছে প্রিমিয়ার লিগ।
যদি রেক্সহ্যাম চ্যাম্পিয়নশিপে উঠতে পারে, তবে তারা ২০১৬ সালের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী লেস্টার সিটির মতো দলের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাবে।
রেক্সহ্যামের এই অভাবনীয় উত্থান অন্যদেরও ঈর্ষান্বিত করেছে। ডেভিড বেকহাম, গ্যারি নেভিল এবং রায়ান গিগসের মতো তারকাদের মালিকানাধীন সালফোর্ড সিটি এখনো লিগ টু-র গন্ডি পেরোতে পারেনি।
রেক্সহ্যাম সেই সালফোর্ড সিটিকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে। মাঠের বাইরের সাফল্যের পাশাপাশি, রেক্সহ্যাম তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
গত মৌসুমে তাদের টার্নওভার ছিল প্রায় ২৬.৭ মিলিয়ন পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৯২ কোটি টাকার সমান)।
রেক্সহ্যামের এই সাফল্যে তাদের সমর্থক এবং ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ লেগেছে। তবে, তাদের প্রতিপক্ষ চার্লটনের ম্যানেজার নাথান জোন্স রেক্সহ্যামকে ‘সার্কাস’ বলে মন্তব্য করেছেন।
যদিও রেক্সহ্যামের ম্যানেজার ফিল পার্কিনসন এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস