খ্যাতিমান শিল্পী নওমি জুডের দুই কন্যা, উইনোনা এবং অ্যাশলে জুড, তাদের মায়ের জীবন এবং তাদের সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে মুখ খুলেছেন। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত তথ্যচিত্র ‘দ্য জুড ফ্যামিলি: ট্রুথ বি টোল্ড’-এ তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনের অনেক অজানা কথা জানিয়েছেন। এই তথ্যচিত্রটি তাদের মায়ের মৃত্যুর পর তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং শোকের সাথে লড়াই করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছে।
উইনোনা এবং অ্যাশলে, দুজনেই তাদের মায়ের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করেছেন। তাদের শৈশব কেটেছে কেনটাকি এবং টেনেসিতে। ছোটবেলায় তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক কেমন ছিল, সে বিষয়েও তারা কথা বলেছেন। উইনোনা জানান, ছোটবেলায় অ্যাশলে তাকে ‘সিস্টার মমি’ ডাকত, যা তার ভালো লাগত না।
কারণ তিনি বোনের মতোই সম্পর্ক চেয়েছিলেন। অন্যদিকে, অ্যাশলে জানান, উইনোনা সবসময় তার কাছে মায়ের মতো ছিলেন।
নওমি জুড এবং উইনোনা একসময় ‘দ্য জুডস’ নামে একটি সঙ্গীত দল গঠন করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। তবে মায়ের সঙ্গে উইনোনার সম্পর্ক সব সময় মসৃণ ছিল না। কর্মজীবনের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয় এবং তারা দীর্ঘ সময় ধরে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন।
অ্যাশলে এবং নওমির সম্পর্ক তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল, কারণ তাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল ছিল।
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নওমি জুডের আত্মহত্যার পর উইনোনা এবং অ্যাশলে আবার কাছাকাছি আসেন। তাদের শোকের সময়ে একে অপরের প্রতি সমর্থন ছিল চোখে পড়ার মতো। তারা দুজনেই তাদের মায়ের উইল নিয়ে কোনো প্রকার বিতর্কে জড়াননি।
উইনোনার ভাষ্যমতে, তাদের মায়ের মৃত্যুর পর তাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। তারা একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং দুর্বলতাগুলো ভাগ করে নিতে শিখেছেন।
তথ্যচিত্রটিতে অ্যাশলে এবং উইনোনা তাদের মায়ের মৃত্যুর পর শোক কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, কীভাবে একজন জীবন পরামর্শকের সহায়তায় তারা তাদের সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়েছেন। তাদের মতে, এই সম্পর্ক এখন তাদের জীবনের সবচেয়ে শক্তিশালী বন্ধন।
তারা স্বীকার করেছেন, তারা দুজনেই মানুষ হিসেবে আলাদা, তবে তাদের মধ্যে অনেক মিলও রয়েছে।
এই তথ্যচিত্রটি দর্শককে তাদের পরিবারের গল্প শোনায়, যা শোক, সম্পর্ক এবং ভালোবাসার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে। এই দুই বোনের জীবনের গল্প, তাদের মায়ের স্মৃতি এবং শোকের সঙ্গে তাদের লড়াই অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তথ্যসূত্র: পিপল