ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষদের আনা ডেটা কারচুপি এবং প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করেছে এলন মাস্কের সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)। তারা এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছে।
প্যারিসের প্রসিকিউটর অফিস এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করার ঘোষণা দেওয়ার পরেই ‘এক্স’-এর পক্ষ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
ফরাসি প্রসিকিউটর অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযোগগুলি একটি ‘স্বয়ংক্রিয় ডেটা প্রক্রিয়াকরণ সিস্টেম’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে ঠিক কী ধরনের কারচুপি বা প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
এই ধরনের অপরাধ প্রমাণ হলে ফ্রান্সে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।
‘এক্স’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফরাসি কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যালগরিদম ‘ম্যানিপুলেট’ করা এবং ‘ফ্রডুলেন্ট ডেটা এক্সট্রাকশন’-এর অভিযোগে একটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ফৌজদারি তদন্ত চালাচ্ছে। ‘এক্স’-এর গ্লোবাল গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যাকাউন্ট থেকে করা এক পোস্টে বলা হয়, তারা এই অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।
প্রসিকিউটর অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে দুইজন ব্যক্তি তাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিটে কিছু তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সংসদ সদস্য এবং অন্যজন ফরাসি সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, ওই দুই ব্যক্তি ‘বৈদেশিক হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্যে’ ‘এক্স’-এর অ্যালগরিদম ব্যবহারের সন্দেহের কথা জানিয়েছিলেন। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
‘এক্স’-এর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ঠিক কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে তারা এখনো অন্ধকারে রয়েছে।
তবে তাদের ধারণা, এই তদন্ত ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ’ করার উদ্দেশ্যে ফরাসি আইনকে ‘বিকৃত’ করছে এবং এর মাধ্যমে ‘মুক্ত বক্তৃতার’ উপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
প্যারিস প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে, তারা তদন্তের অংশ হিসেবে ‘এক্স’-কে তাদের অ্যালগরিদমে পুলিশি তদন্তকারীদের প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।
গত সপ্তাহে পাঠানো এক চিঠিতে এই অনুরোধ করা হয়।
প্রসিকিউটর অফিস আরও জানিয়েছে, তদন্তকারীরা ‘গোপনীয়তা’ রক্ষার জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন এবং শুধুমাত্র তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এর সুযোগ পাবেন।
তবে ‘এক্স’-এর কাছ থেকে তারা এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব পায়নি।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস