চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা পেশ করেছেন।
সোমবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এই বৈঠকে ২০২৬ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত চীনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। বৈঠকে মূলত খসড়া পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়েছে, তবে বিস্তারিত বিষয়গুলো আগামী মার্চ মাসে আইনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের পরেই প্রকাশ করা হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শি জিনপিং এই উন্নয়ন পরিকল্পনার প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। যদিও পরিকল্পনার বিস্তারিত এখনো জানানো হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, এতে চীনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কৌশল এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দিকনির্দেশনা থাকবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিকল্পনা চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমানে দেশটির অর্থনীতিতে কিছু সমস্যা দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্কের মতো বিষয়গুলোও তাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
সিনহুয়ার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনায় ‘গুণগত মানসম্পন্ন’ উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের উপর জোর দেওয়া হবে। একইসঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় ২০০ জন সদস্য এবং ১৭০ জন বিকল্প সদস্য এই খসড়া পরিকল্পনার ওপর আলোচনা করেন।
বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, এই পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিষয়গুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হবে। এছাড়া, কীভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানো যায় এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীর দেখাশোনা করা যায়, সে বিষয়েও কিছু পদক্ষেপ থাকতে পারে।
চীনের এই পরিকল্পনা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীন বর্তমানে এশিয়ার একটি প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি এবং অনেক দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গেও চীনের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সম্পর্ক রয়েছে। চীনের এই উন্নয়ন পরিকল্পনা তাই বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস