যুক্তরাজ্যের এক তরুণ মায়ের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ এবং এর প্রতিক্রিয়ায় অনলাইন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি, মায়ের সন্তানের চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া হয়।
চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে ডাক্তার মায়ের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে সন্তানের প্রতিপালন বিষয়ে একটি পরামর্শ দেন, যা ওই মায়ের ভালো লাগেনি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন মা তার শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান, কারণ শিশুর থুতনির নিচে একটি ফুসকুড়ি দেখা দিয়েছিল। ডাক্তার পরীক্ষা করার সময় শিশুর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মা তার ফোন এবং চাবির গোছা নাড়াচাড়া করছিলেন।
এতে শিশু হাসছিল এবং উপরের দিকে তাকাচ্ছিল। ডাক্তার তখন সরাসরি মাকে বলেন, “শিশুকে ফোন দেখতে দেবেন না।”
মায়ের মতে, ডাক্তারের এই মন্তব্যটি অপ্রত্যাশিত ছিল এবং তিনি এতে বিরক্ত হন। তিনি মনে করেন, ডাক্তারের কাজ ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে নজর দেওয়া, অন্য কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা নয়।
ওই মা আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি তার স্বামীকে গাড়ির ভেতরে বসিয়ে এসেছিলেন এবং তার মনে হয়েছে, পুরুষ ডাক্তারের বদলে অন্য কেউ থাকলে হয়তো এমন কথা বলতেন না।
ঘটনাটি নিয়ে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় অনলাইন ফোরাম ‘মামসনেটে’ আলোচনা শুরু হয়। মা তার অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, ডাক্তারের এই পরামর্শটি তার কাছে “অযাচিত এবং উদ্ধতপূর্ণ” মনে হয়েছে।
তিনি ফোরামের অন্যান্য সদস্যদের কাছে জানতে চান, ডাক্তারের সঙ্গে তার এই বিষয়ে কথা বলা উচিত কিনা।
আলোচনার প্রেক্ষিতে, ফোরামের প্রায় দুইশ জনের মধ্যে ৮৭ শতাংশ ব্যবহারকারী মনে করেন মায়ের প্রতিক্রিয়া ছিল ‘অযৌক্তিক’। অনেক সদস্য পরামর্শ দিয়েছেন, বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া উচিত, কারণ এটি কেবল একটি পরামর্শ ছিল, যা তিনি মানতে চাননি।
তবে কেউ কেউ মায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, বিষয়টি বিরক্তিকর ছিল, যদিও সম্ভবত এর প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ জানানোর মতো যথেষ্ট নয়।
এই ঘটনাটি আমাদের সমাজে ডাক্তার-রোগী সম্পর্ক এবং অভিভাবকদের প্রতি ডাক্তারদের পরামর্শের বিষয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে। একজন ডাক্তারের কাছ থেকে পাওয়া পরামর্শ কতটা গ্রহণ করা হবে, তা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল