মাত্র ২৬ ডলারে আকর্ষণীয় ছবি! তরুণীর অভিনব আইডিয়া, মুহূর্তে ভাইরাল!

তরুণ পেশাদারদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের পোর্ট্রেট: কিভাবে শুরুতেই পেশাদার ভাবমূর্তি তৈরি করবেন।

আজকের কর্মব্যস্ত বিশ্বে, পেশাগত ছবি বা ‘হেডশট’-এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে যারা কর্মজীবন শুরু করছেন, তাদের জন্য একটি ভালো ছবি তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।

নামী-দামী স্টুডিওতে ছবি তোলার খরচ অনেক বেশি, যা অনেকের পক্ষেই বহন করা সম্ভব হয় না। তবে সম্প্রতি, ২৯ বছর বয়সী ক্রিস্টিন কামিন্স নামের এক তরুণী দেখিয়েছেন কিভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে চমৎকার ছবি তোলা যায়।

ক্রিস্টিন জানান, পেশাদার ছবি তোলার জন্য স্থানীয় ফটোগ্রাফারদের কাছে ৩০০ ডলার পর্যন্ত খরচ হতে পারে। কিন্তু তিনি এত বেশি অর্থ খরচ করতে রাজি ছিলেন না।

তাই তিনি বেছে নিয়েছিলেন একটি ভিন্ন পথ। তিনি একটি ডিসকাউন্ট কুপন ব্যবহার করে মাত্র ২৬ ডলারে (প্রায় ২,৮০০ বাংলাদেশী টাকা) জেসিপেনি (JCPenney)-তে ছবি তোলেন।

ক্রিস্টিন বলেন, “আমার দ্রুত ছবি দরকার ছিল, তাই আমি এই বিকল্প বেছে নিয়েছিলাম। ছবিগুলো আমার প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। এগুলো হয়তো ম্যাগাজিনের জন্য উপযুক্ত নয়, তবে লিঙ্কডইন-এর মতো ওয়েবসাইটে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী।” তিনি আরও যোগ করেন, “যারা সবে কর্মজীবন শুরু করছেন এবং বেশি অর্থ খরচ করতে পারছেন না, তাদের জন্য এটা দারুণ।”

পেশাগত ক্ষেত্রে ভালো ছবি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা ক্রিস্টিন ভালো করেই জানেন। তিনি খুব শীঘ্রই একটি এস্থেটিক মেডিকেল স্পা-এর ম্যানেজার হতে যাচ্ছেন।

তার মতে, “একটি ভালো ছবি পেশাদারিত্বের প্রথম ধাপ। এর মাধ্যমে আপনি বোঝাতে পারেন যে আপনি আপনার কাজকে গুরুত্ব দেন।”

ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে ক্রিস্টিন বলেন, “ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে জেসিপেনি-তে ছবি তুলতে যাওয়াটা ছিল দারুণ আনন্দের।” তার মতে, সেই সময়টা ছিল অনেক সহজ, যখন স্মার্টফোন ছিল না এবং ছবি তোলার এত সুযোগ ছিল না।

জেসিপেনি-র এই সাশ্রয়ী পোর্ট্রেট-এর অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, ভালো ছবি তোলার জন্য সবসময় বেশি খরচ করার প্রয়োজন হয় না। ক্রিস্টিনের এই উদাহরণ, তরুণ পেশাদারদের জন্য একটি মূল্যবান শিক্ষা হতে পারে, যা তাদের কর্মজীবনের শুরুতে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে, যদিও জেসিপেনি-র সরাসরি কোনো কার্যক্রম নেই, তবে সাশ্রয়ী মূল্যে ছবি তোলার মতো বিকল্প সুযোগ নিশ্চয়ই রয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *