জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাওয়াকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অভিযোগে দেশটির পুলিশ কমপক্ষে ৯৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার হারারে সহ বেশ কয়েকটি শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতির মধ্যে এই গ্রেপ্তারি অভিযান চালানো হয়।
বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট এমনানগাওয়ার পদত্যাগ এবং তার দল জানু-পিএফ (ZANU-PF) -এর ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন।
জানা গেছে, জানুয়ারি মাসেই জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন দল ঘোষণা করে যে তারা ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এমনানগাওয়ার শাসনের মেয়াদ বাড়াতে চায়।
এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটির স্বাধীনতা যুদ্ধের বীরযোদ্ধারা, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন ব্লেসড গেজা, সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। একসময় এমনানগাওয়ার সমর্থক হিসেবে পরিচিত এই বীরযোদ্ধারা এখন তার বিরুদ্ধে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অভিযোগ এনেছেন।
২০১৭ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে দীর্ঘদিনের নেতা রবার্ট মুগাবে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এমনানগাওয়া প্রেসিডেন্ট হন। বর্তমানে ৮২ বছর বয়সী এমনানগাওয়া তার শেষ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিক্ষোভকারীরা “আর নয়”, “এমনানগাওয়াকে যেতে হবে” -এরকম স্লোগান দেয়। পুলিশের অভিযোগ, গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে এবং প্রধান সড়ক অবরোধ করে জনজীবনে বাধা সৃষ্টি করেছে।
বিক্ষোভের কারণে সোমবার রাজধানী সহ অন্যান্য শহরগুলোতে দোকানপাট, স্কুল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। অনেক বিশ্লেষক একে প্রতিবাদ জানানোর একটি ভিন্ন কৌশল হিসেবে দেখছেন।
গেজা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুসারীদের প্রতি বিক্ষোভ প্রদর্শনের আহ্বান জানানোর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি নতুন করে বিক্ষোভের ডাক না দিলেও এমনানগাওয়া ও তার “দুর্নীতিগ্রস্ত চক্রকে” ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা