নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র পদের দৌড়ে থাকা একজন প্রার্থীর অতীতের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষ করে, নিহত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেই আলোচনা নতুন মোড় নিয়েছে।
প্রার্থী জোহরান মামদানি অতীতে পুলিশি ব্যবস্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন। তিনি এমনকি ‘পুলিশ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া’র মতো কথা বলেছিলেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ম্যানহাটানে এক পুলিশ অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম ছিলেন একজন বাংলাদেশি অভিবাসী। এই ঘটনার পর, জোহরান মামদানির অতীতের মন্তব্যগুলো নতুন করে সামনে আসে।
এই পরিস্থিতিতে, তার নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মেয়র পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময়, প্রার্থীর এমন অতীত মন্তব্যগুলো তার ভাবমূর্তির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, যখন তিনি শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বিভাগের সঙ্গে কাজ করতে চাইছেন।
জানা যায়, এক সময় মামদানি পুলিশের ক্ষমতা কমানো এবং পুলিশের পরিবর্তে অন্য কোনো ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন। তিনি মনে করতেন, পুলিশের সংস্কার নয়, বরং পুরো কাঠামোটির পরিবর্তন প্রয়োজন।
তবে, এখন তিনি বলছেন যে, তিনি পুলিশের ‘অর্থ কমানো’র ধারণায় বিশ্বাস করেন না। এমনকি, তিনি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ‘পুলিশকে বর্ণবাদী’ বলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তবে, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, অতীতে দেওয়া মামদানির বক্তব্য এবং বর্তমানের অবস্থানের মধ্যে একটি পার্থক্য রয়েছে। অনেকেই জানতে চান, তিনি কি সত্যিই তার পুরনো ধারণা থেকে সরে এসেছেন? নাকি, রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন?
নির্বাচনী প্রচারণার সময়, মামদানি জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের মধ্যে সমন্বয় সাধনের কথা বলছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি সমর্থন জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এই বিতর্কের মাঝে, নিউ ইয়র্কের আইনপ্রণেতা জেফ ডিনউইটজ বলেছেন, “কিছু মানুষ যথেষ্ট বুদ্ধিমান যে তারা বুঝতে পারে, অতীতের সত্য বর্তমান নাও হতে পারে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন।