বিখ্যাত ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘দ্য জম্বিজ’-এর প্রধান শিল্পী কলিন ব্লুনস্টোন। ষাটের দশকে ‘শি’জ নট দেয়ার’, ‘টেল হার নো’, এবং ‘টাইম অফ দ্য সিজন’-এর মতো জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে তারা বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেন।
সম্প্রতি, তাদের জীবন ও সঙ্গীত বিষয়ক একটি নতুন তথ্যচিত্র মুক্তি পেতে চলেছে, যার নাম ‘হাং আপ অন আ ড্রিম: দ্য জম্বিজ ডকুমেন্টারি’।
এই তথ্যচিত্রে ব্লুনস্টোনের জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক উন্মোচিত হয়েছে। জানা যায়, তিনি আসলে দত্তক পুত্র ছিলেন। তার জন্মদাত্রী মা ছিলেন তার মাসি। বিষয়টি তিনি জানতে পারেন মায়ের মৃত্যুর অল্প কিছুদিন আগে।
১৯৪৫ সালের ২৪শে জুন ইংল্যান্ডের হার্টফোর্ডশায়ারে জন্ম হয় কলিন ব্লুনস্টোনের। সে সময় অবিবাহিত অবস্থায় সন্তান ধারণ করাটা সমাজে খুব কঠিন ছিল। তাই পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে কলিনের জন্মদাত্রী মা, যিনি আসলে ব্লুনস্টোনের মাসি ছিলেন, সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে কয়েক মাস তার বোনের কাছে গিয়ে ছিলেন।
সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তিনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যান।
ব্লুনস্টোন ছোটবেলা থেকেই জানতেন যে তিনি দত্তক পুত্র। তবে, নিজের জন্মদাত্রী মায়ের পরিচয় সম্পর্কে তিনি খুব বেশি কিছু জানতেন না। পরবর্তীতে, প্রায় ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, কলিনের জন্মদাত্রী মা তাকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বলেন। তিনি ব্লুনস্টোনকে জানান, কীভাবে তার জন্ম হয়েছিল।
জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক আমেরিকান সৈন্যের সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক হয়। সেই প্রেম থেকে কলিনের জন্ম।
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই ব্লুনস্টোনের মা মারা যান।
দ্য জম্বিজ ১৯৬৭ সালে ভেঙে যায়। তবে, তাদের ‘টাইম অফ দ্য সিজন’ গানটি অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
পরবর্তীতে, ব্লুনস্টোন এবং রড আর্জেন্ট ২০০৪ সালে নতুন সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ব্যান্ডটি পুনর্গঠন করেন।
সংগীত জগতে ‘দ্য জম্বিজ’-এর অবদান অনস্বীকার্য। ২০১৯ সালে ব্যান্ডটিকে ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা তাদের সঙ্গীত জীবনের এক দারুণ স্বীকৃতি।
‘হাং আপ অন আ ড্রিম: দ্য জম্বিজ ডকুমেন্টারি’ ১২ই মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
তথ্য সূত্র: পিপল